Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৫ অক্টোবর ২০১৬

আটঘরিয়ায় ফসল কর্তন উপলক্ষে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত


প্রকাশন তারিখ : 2016-10-18

আটঘরিয়ায় উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে চাষী  পর্যায়ে উন্নত মানের ধান,গম ও পাট বীজ সংরক্ষণ ও বিতরণ প্রকল্পের (দ্বিতীয় পর্যায়) আওতায় উপজেলার উত্তরচক গ্রামে ব্রি-৫৬ ধান কর্তন উপলক্ষে এক মাঠ দিবস আজ ১৭ অক্টোবর  অনুষ্ঠিত হয়।
কৃষক পর্যায়ে ব্রি-৫৬ ধানের আবাদ বৃদ্ধি কল্পে এবং ধানটির বীজ উৎপাদন ও সংরক্ষনের নিমেত্তে মাঠ দিবসটি অনুষ্ঠিত হয়। আটঘরিয়ায় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ প্রশান্ত কুমার সরকার  এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মাঠ দিবসে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পাবনাস্থ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ বিভূতি ভূষন সরকার।
মাঠ দিবসে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বীজ উৎপাদন সংরক্ষণ ও অন্যান্য চাষীদের মধ্যে স্বল্প মূল্যে বিতরণ বিষয়ে বক্তব্য রাখেন পাবনাস্থ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ পরিচালক (উদ্যান) কৃষিবিদ খয়ের উদ্দিন মোল্লা এবং কৃষি তথ্য সার্ভিসের কর্মকর্তা এ.টি.এম ফজলুল করিম।

মাঠ দিবসে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপ পরিচালক বিভূতি ভূষন সরকার বলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ব্যবস্থাপনায় পাবনার সকল উপজেলায় চাষীদের উন্নত মানের বীজ উৎপাদন ও সংরক্ষণ বিষয়ে বিভিন্ন সময় প্রশিক্ষন প্রদান করে  তাদেরকে দক্ষ বীজ উৎপাদক হিসেবে তৈরি করা হচ্ছে। এছাড়া সরকারী খরচে চাষীদেরকে প্রদর্শনী প্লটের মাধ্যমে বিনা মূল্যে বীজ, সার সরবরাহের মাধ্যমেও দক্ষ করা হচ্ছে। সাধারণত চাষীরা যাতে ফড়িয়াদের কাছ থেকে  বীজ কিনে প্রতারিত না হয় সেই জন্যই চাষী পর্যায়ে উন্নতমানের বীজ উৎপাদন , বিতরণ ও সংরক্ষণ বিষয়ে প্রকল্প গ্রহন করা হয়েছে। এতে চাষীদের ভাল বীজ চাষীরাই ব্যবহার করতে পারবেন আপর দিকে বাজার থেকে বেশি দামে বীজ কেনার পরিবর্তে নিজেদের বীজ নিজেরাই ব্যহার করতে সমর্থ হবে । এ কারনে আটঘরিয়া উপজেলায় বেশ কয়েকটি প্রদর্শনী প্লটে ব্রি-৫৬ জাতের খরা সহিষ্ণু ধানের আবাদ করা হয়েছে। তিনি নিরাপদ খাদ্য শষ্য উৎপাদন এবং পুষ্টি সমস্যা সমাধানে উপস্থিত সকল চাষী ও সুধীবৃন্দকে পরামর্শ প্রদান করেন। অনুষ্ঠানের সভাপতি কৃষিবিদ প্রশান্ত কুমার সরকার বলেন, সঠিক সময় সঠিক জাতের পুষ্ট বীজ ব্যবহার করলে কাঙ্খিত ফলাফল পাওয়া যায়। তিনি উপস্থিত সকলকে ব্রি-৫৬ জাতের ধান আবাদের পরামর্শ প্রদান করে।  
অন্যদের মধ্যে পৌরসভা ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. জাহিদ হাসান হিরক, বঙ্গবন্ধু পুরুস্কার প্রাপ্ত কৃষক বিপ্লব কুমার সেন,  প্রদর্শনী প্লট স্থাপনকারী  কৃষক  মো. আব্দুল খালেক প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
এর আগে প্রকল্পের আওতায় বীজ উৎপাদনের নিমিত্তে আবাকৃত রোপা আমন ধান ব্রি-৫৬  এর এক একরের মাঠে  ২০ বর্গ মিটার জায়গায় কর্মকর্তাগনের সমূখে  নমুনা শষ্য কর্তন করা হয়। এতে প্রতি বিঘায় শুকনো আবস্থায় ১৮ মন হিসাবে উৎপাদন  রেকর্ড করা হয়।